কেন আমরা ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর জন্য মহররম পাকে মর্সিয়া করছি,মাতমপাক করছি,ক্রন্দন করছি,অনুষ্ঠানাদি করছি ?
কেন আমরা ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর জন্য মহররম পাকে মর্সিয়া করছি,মাতমপাক করছি,ক্রন্দন
করছি,অনুষ্ঠানাদি করছি ? অন্যদের দৃষ্টিতে যা শিরক,বেদাত,না-যায়েজ ইত্যাদি ইত্যাদি।তাহলে আমাদেরকে প্রথমে দেখতে হবে ইমাম হুসাইন (আঃ) বা আহলে বাইত পাকগন কে বা কারা আছেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে আহলে বাইতপাকদের,সম্মান, মর্যাদা, উচ্চতা সম্পর্কে,তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ করছিঃ- লেখাটি যেহেতু ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর উদ্দেশ্যে,তিনি আহলে বাইতের একজন সদস্য,তাই আহেল বাইতপাকদেরকে নিয়ে যে সমস্ত আয়াতপাক বর্ননা করা হবে এবং হাদিসেরও বর্ণনা দেওয়া হবে,সেটা ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
করছি,অনুষ্ঠানাদি করছি ? অন্যদের দৃষ্টিতে যা শিরক,বেদাত,না-যায়েজ ইত্যাদি ইত্যাদি।তাহলে আমাদেরকে প্রথমে দেখতে হবে ইমাম হুসাইন (আঃ) বা আহলে বাইত পাকগন কে বা কারা আছেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে আহলে বাইতপাকদের,সম্মান, মর্যাদা, উচ্চতা সম্পর্কে,তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ করছিঃ- লেখাটি যেহেতু ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর উদ্দেশ্যে,তিনি আহলে বাইতের একজন সদস্য,তাই আহেল বাইতপাকদেরকে নিয়ে যে সমস্ত আয়াতপাক বর্ননা করা হবে এবং হাদিসেরও বর্ণনা দেওয়া হবে,সেটা ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
আহলে বাইত পাকগন হলেন,মুহাম্মাদ(সাঃ), আলী(আঃ),ফাতিমা(আঃ),হাসান(আঃ),হুসাইন(আঃ) এবং তাঁদের আওলাদ পাকগন,যারা সৎ,লোভ-লালসাহীন,হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত,ধৈর্য্য-সহ্য- সহনশীল,সর্বোপরি অপবিত্র ইবলিশ মুক্ত,শিরক মুক্ত এবং তাঁরা আল্লাহ পাকের উচ্চমর্যাদাশীল বান্দা, খাসবান্দা,নেকবান্দা,নেয়ামতপ্রাপ্তবান্দা,সালেহীনবান্দাগন।
যাঁদেরকে আল্লাহ পাক আদম(আঃ)কে তৈরির অনেক পূর্বে সৃষ্টি করে “উচ্চমর্যাদাশীলগনের” মর্তবা দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন (সুরা-সোয়াদ-৭৫ নম্বর আয়াত)।
যাঁরা আল্লাহ পাকের “খাসবান্দা”।যাঁদের কাছে ইবলিশ কখনোই যেতে পারবে না।যাঁরা আল্লাহ পাকের নিকট যাওয়ার একমাত্র সরল ও সহজ পথ(সুরা-হিজর-৩৯,৪০,৪১ আয়াত)।
যাঁদের পথে চলার জন্য আমরা আল্লাহ পাকের নিকট সাহায্য চাচ্ছি (সুরা-ফাতেহা-৫ ও ৬ নম্বর আয়াত)।এঁনারাই সুরা ফাতেহার “নেয়ামতপ্রাপ্তবান্দা”।
যাঁদের নামপাকের অছিলায় আদম(আঃ)এর দোয়া কবুল হয়েছিল (সুরা-বাকারাহ-৩৭ নম্বর আয়াত ও হাদিস - দুররুল মানসুর,১ম খন্ড,৬০পৃষ্ঠা ও ১৪৭পৃষ্ঠা, ইয়া নাবিউল মাওয়াদ্দা,৯৬ পৃষ্ঠা,মাজমাউল বয়ান,১ম খন্ড,৮৯ পৃষ্ঠা,তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,৫৯ পৃষ্ঠা)।
যাঁদেরকে আল্লাহ পাক তাঁর নিজের নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন (সুরা-মায়েদাহ -১৫ নম্বর আয়াত,সুরা-কাহাফ-১১০নম্বর আয়াত,সুরা-নূর-৩৫ নম্বর আয়াত এবং হাদীস -নাফায়েসুল মেনন,খন্ড-২,২৪৩-২৪৪পৃষ্ঠা, ইয়া নাবিউল মাওয়াদ্দাহ,১১পৃষ্ঠা)
যাঁদেরকে পৃথিবীতে এনে আল্লাহ পাক সমস্ত নাপাক থেকে,পাক ও পূতপবিত্র বলে ঘোষণা দিয়েছেন (সুরা-আহযাব-৩৩ নম্বর আয়াত এবং হাদিস-মুসলিম শরীফ,২য় খন্ড,২৭৮পৃষ্ঠা,মুসলিম শরীফ,হাদীস নম্বর-৬০৪৩,তিরমিজি-২য় খন্ড,২১৩পৃষ্ঠা,তিরমিজি,৫ম খন্ড,হাদীস নম্বর-৩২০৫)।
বাতিলের বিরুদ্ধে,অসত্যের বিরুদ্ধে যাঁরা সত্য ও হকের পতাকাধারী (খৃষ্ঠানদের অসত্যের বিরুদ্ধে যে মোবাহেলা সংগঠিত হয়েছিল,সেখানে সত্যের পক্ষে শুধুমাত্র রাসুল (সাঃ),আলী(আঃ),ফাতেমা(আঃ), হাসান(আঃ)ও হুসাইন (আঃ) গিয়েছিলেন) ( সূত্র,সুরা আলে ইমরান-৬১ নম্বর আয়াত এবং হাদীসঃতিরমিজি,২য় খন্ড,২১৪ পৃষ্ঠা,তিরমিজি তাফসির অধ্যায়,হাদিস নম্বর-২৯৯৯,মুসলিম শরীফ,২য় খন্ড,২৭৮ পৃষ্ঠা,কানযুল ঈমান(কুরআন শরিফ)সুরা আলে ইমরানের ৬১ নম্বর আয়াতের শানে নযুল)।
যাঁরা কিয়ামত পযন্ত এই জমিনের(পৃথিবীর)ইমাম হিসাবে কায়েম থাকবেন ( ইব্রাহীম(আঃ) এর দোয়া কবুল করে আল্লাহ পাক মুহাম্মদ ও আলে মুহাম্মদগন কে ইমামত দান করেছেন) (সুরা বাকারাহ- ১২৪ নম্বর আয়াত)।
যাঁরা জন্মগতভাবে মুসলিম হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছেন ( সুরা বাকারাহ'র ১২৮ নম্বর আয়াত),আর আল্লাহ পাক ঈমানদারদেরকে বলছেন,“তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরন করোনা” (সুরা আলে ইমরান-১০২ নম্বর আয়াত) অর্থাৎ জন্মগতভাবে যারা মুসলিম(মুহাম্মদ(সাঃ),আলী(আঃ),ফাতেমা(আঃ), হাসান(আঃ),হুসাইন(আঃ)এবং তাঁদের আওলাদ পাকগন)তাঁদের দলভুক্ত না হয়ে মৃত্যুবরন করতে আল্লাহ পাক ঈমানদারগনকে হুঁশিয়ারি করছেন।
আল্লাহ পাক এই যমীনের (পৃথিবীর) উত্তরাধিকারী করেছেন তাঁর সালেহীনবান্দাগনকে(সুরা আম্বিয়া - ১০৫ নম্বর আয়াত) এই সালেহীনবান্দাগন হলেন আহলে বাইত পাকগন।যারা পৃথিবীতে শেষ জামানায় এসেছেন।যেকারনে ইব্রাহীম(আঃ) ও ইউসুফ(আঃ) তাঁদের সহবতে যেতে পারেননি বিধায়, আল্লাহ পাকের নিকট সালেহীনবান্দাদের সহবতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।(সুরা আশ শুআরা-৮৩ নম্বর আয়াত ও সুরা ইউসুফ -১০১ আয়াত)।আল্লাহ পাক ইব্রাহীম(আঃ)এর দোয়া কবুল করে তাঁকে কিয়ামতের দিন সালেহীনবান্দাগনের দলভুক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন (সুরা বাকারাহ'র -১৩০ নম্বর আয়াত ও সুরা আন কাবুত-২৭ নম্বর আয়াত)
এই সালেহীন বা নেকবান্দাদের কে আল্লাহ পাক কোন মর্তবায় রেখেছেন এবং তাঁরা কারা তা তিনি সুরা ইনসান( আদ দাহর)এর ৫ নম্বর আয়াত হতে ২২ নম্বর আয়াতপাকের মধ্যে উল্লেখ করেছেন এবং তাফসিরে জামখসারী,২য় খন্ড,৫২ পৃষ্ঠা,তাফসিরে ফখরে রাজী, ৮ম খন্ড,২৭৬পৃষ্ঠা,তাফসিরে বায়যারী,২য় খন্ড,৫৭১পৃষ্ঠা,তাফসিরে দুররুল মানসুর, ৬ষ্ঠ খন্ড,২৯৯পৃষ্ঠা)।
আল্লাহপাক তাঁর ফেরেশতাদের কে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এঁর উপর দরূদ পড়ছেন এবং ঈমানদারদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা যেন রাসুল(সাঃ)এঁর উপর দরূদ পড়ে এবং আদবের সহিত সালাম দেয়(সুরা আহযাব-৫৬ নম্বর আয়াত)।রাসুল(সাঃ) বলেছেন, “আমার একার উপর দরূদ পড়লে সম্পূর্ণ হবেনা, আমার আহলে বাইত পাকদের উপর দরুদ পড়তে হবে।সেজন্য আমরা দরূদ পড়ছি,“আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদিও ওয়া আলা আলে মুহাম্মদি......
আল্লাহ পাক এবং তাঁর রাসুল (সাঃ)এঁর নির্দেশ মোতাবেক আমরা এই দরূদ নামাজের মধ্যে পড়ছি। আলে মুহাম্মদ হলেন,আলী,ফাতেমা,হাসান,হুসাইন (আঃ)এবং তাঁদের আওলাদ পাকগন।এনাদেরকে আল্লাহ পাক নিজের ইবাদতের মধ্যে বা নামাজের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছেন। তাহলে এনাদের মর্যাদা, মর্তবা কোথায় রেখেছেন আল্লাহ পাক ?
হাসান(আঃ) ও হুসাইন (আঃ)কে আল্লাহ পাক জান্নাতের সর্দার করেছেন এবং তাঁদের মা ফাতেমা(আঃ) কে জান্নাতের মহিলাদের সর্দারনী করেছেন। (তিরমিজি-২য় খন্ড,২১৮ পৃষ্ঠা ও ৬ষ্ঠ খন্ড,হাঃ৩৭৬৮ ও খন্ড-২,পৃষ্ঠা-২২৭,বোখারী শরীফ,১ম খন্ড,৫৩২ পৃষ্ঠা,হাদিস -৩৩৬৪)।
ইমাম হুসাইন (আঃ) জান্নাতে আমাদের সর্দার,এটা আমরা মনে প্রানে বিশ্বাস করি এবং তাঁকে আমরা আমাদের মাথার উপরে রেখেছি।শুধু শুক্রবার জুম্মার খুতবায় “হাসান ও হুসাইন (আঃ) জান্নাতের সর্দার” এটা শুনে,এক কান দিয়ে শুনে,অন্য কান দিয়ে বেড় করে দেই না।তাঁদের দুঃখে আমরা দুঃখিত হই,তাঁদের খুশিতে আমরা খুশি হই।সেই কারনে মহররম মাস আমাদের জন্য দুঃখের মাস।
আল্লাহ পাক বলছেন,“তোমরা আল্লাহ রজ্জু কে শক্ত করে আঁকড়ে ধর,পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়েও না"। ( আলে ইমরান-১০৩ আয়াত) এই আয়াতে আল্লাহপাক রজ্জুকে শক্ত করে ধরতে বলছেন,রজ্জু অর্থ রশি বা দড়ি। রশি বা দড়ি দুইটি পাটের গোছা দ্বারা পাকানো হয়।এর অর্থ হলো এ আয়াতে আল্লাহপাক রজ্জু দ্বারা দুইটি জিনিস কে বুঝিয়েছেন এবং আরো বলেছেন,”পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়েও না”।অর্থাৎ ঐ দুটি জিনিস মজবুতের সঙ্গে ধরতে হবে,যাতে বিচ্ছিন্ন না হই। ইমাম বাকের(আঃ)এই আয়াতপাক সম্পর্কে বলেছেন যে,রাসুল(সাঃ)এঁর বংশধরগনই খোদাপাকের
মজবুত রজ্জু। যাকে আল্লাহ পাক কুরআন পাকের সঙ্গে ধরতে বলছেন।(তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,১০৬পৃষ্ঠা,তাফসীরে ফুয়াত,১৪ পৃষ্ঠা,ফেকাইয়াতু মোওয়াহহেদীন,৩য় খন্ড,১৭৮পৃষ্ঠা)।
রাসুল (সাঃ) বিদায় হজ্জে দুই সমাবেশে বলেছেন, “আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি একটি কুরআন পাক ও অপরটি আমার আহলে বাইত। যারা এই দুটি কে শক্ত করে আঁকড়ে ধরবে তারা কখনই পথভ্রষ্ট হবেনা।(তিরমিজি ৬ষ্ঠ খন্ড,হাঃ৩৭৮৬,৩৭৮৮, মুসলিম,হাঃ৬০০৭,৬০০৮,৬০১০,মসনাদে হাম্বল, খন্ড-৩,পৃষ্ঠা-১৪,১৭,২৬)
আল্লাহ পাক তাঁর রজ্জুকে শক্ত করে ধরতে বললেন, অপরদিকে রাসুল (সাঃ)সেই রজ্জু বা রশি কি তা আমাদের জানিয়ে দিলেন। আহলে বাইত হলেন নবী(সাঃ)এঁর পরিবার। অর্থাৎ আলী(আঃ),ফাতেমা (আঃ),হাসান(আঃ),হুসাইন(আঃ)এবং তাঁদের আওলাদ পাকগন। কুরআন পাকের সঙ্গে এঁনাদের কে শক্ত করে বা মজবুত করে ধরলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা। এঁনারা ইবলিশ মুক্ত,শিরক মুক্ত। ইবলিশ মুক্ত বা শিরক মুক্ত না হলে তাঁরা কখনোই পথভ্রষ্ট বা গোমরাহি থেকে আদম সন্তানদেরকে উদ্ধারের রক্ষা কবজ হতেন না।
আল্লাহপাক তাঁর উচ্চমর্যাদাসম্পূন্নগন,খাসবান্দাগন, নেকবান্দাগন,নেয়ামতপ্রাপ্তবান্দাগন,সালেহীনবান্দাগন, এবং জান্নাতের সর্দার/সর্দারনী গনকে মুহাব্বত করা আমাদের জন্য ফরয করে দিয়েছেন।তবে একটি শর্তে,তাহলো রাসুল (সাঃ)এঁর নিকট থেকে রেসালাতের বিনিময়ে অর্থাৎ নামায নেওয়ার বিনিময়ে,রোযা নেওয়ার বিনিময়ে,হজ্জ নেওয়ার বিনিময়ে,ইসলাম নেওয়ার বিনিময়ে,কুরআন নেওয়ার বিনিময়ে আহলে বাইত (আঃ)পাকদের কে মুহাব্বত করতে বলেছেন। অর্থাৎ নামাজ,রোযা,হজ্জ,যাকাত,ইসলাম,কুরআন ইত্যাদি পালন করলে এর মুল্য অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।আর এর মূল্য হলো আলী(আঃ)কে মুহাব্বত করা,ফাতেমা (আঃ)কে মুহাব্বত করা,হাসান(আঃ)কে মুহাব্বত করা,হুসাইন(আঃ)কে মুহাব্বত করা এবং এঁনাদের আওলাদ পাকদের কে মুহাব্বত করা,তবেই আমাদের আমল বা ইবাদতের মূল্য পরিশোধিত হবে। আল্লাহ পাক বলছেন,“আপনি বলে দিন,আমি এই (রেসালাত)এর জন্য তোমাদের নিকট থেকে কোন পারিশ্রমিক চাইনা,কিন্তু(আমার) নিকটতম আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাস।” (সুরা আশশুরা-২৩ আয়াত,হাদিসঃবোখারীশরীফ,খন্ড-২, পৃষ্ঠা৭১৩,বোখারী,হাদীস-৩২৪৮,তাফসিরে দূররুল মানসুর,খন্ড-১৩,পৃষ্ঠা-১৪৪,১৪৫, হাম্বল,খন্ড-৪,হাদিস -২৫৯৯, তাফসিরে কবীর,খন্ড-২৭,পৃষ্ঠা-১৬৭,তাফসিরে ইবনে আব্বাস,খন্ড-২,পৃষ্ঠা-২৮০)।
উপরোক্ত আয়াত পাক এবং হাদিসের আলোকে আমরা নিশ্চিত যে,মুহাম্মদ আলে মুহাম্মদগন বা আহলে বাইত পাকগন ইবলিশ মুক্ত,শিরক মুক্ত এবং তাঁরা সারা কায়নাতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত,তাঁদের উপরে আর কোন মাখলুক নেই।আমরা আল্লাহ পাককে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসাবে জেনেই তাঁর আদেশ, নির্দেশ,হুকুমমত মানছি এবং পালন করছি।ঠিক অনুরূপ ভাবে,যাঁদেরকে আল্লাহ পাক উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন,ইবলিশ মুক্ত করে দিয়েছেন, শিরক মুক্ত করে দিয়েছেন, সকল মানবকূল থেকে শ্রেষ্ঠ করে দিয়েছেন, তাঁদের কে জান্নাতের উঁচু মাকাম দিয়েছেন,যাতে করে নবী(সাঃ)এঁর গুনাগার উম্মতদেরকে নাজাতের ব্যবস্হা করতে পারেন,তাঁরা পথভ্রষ্টর হাত থেকে বাঁচানো ওয়ালা,এতোসব কারনেই তাঁদেরকে মুহাব্বত করতে হবে,তাঁদের প্রতি মুহাব্বত নিজ দিলের মধ্যে স্হাপন করতে হবে।এই জন্য আল্লাহ পাক তাঁদের সম্পর্কে কুরআন পাকে অসংখ্য আয়াত পাক নাযিল করে তাঁদের মর্যাদা,মর্তবা,উঁচু করে দিয়েছেন। এসব আয়াত পাক, তাফসির,হাদিস গুলো ভালো ভাবে পড়ে দেখুন জান্নাতের সর্দারের সবথেকে কষ্টের দিনে,দুঃখের দিনে আমাদের নওহা করা,মর্সিয়া করা,মাতম করা,তাজিয়াপাক বেড় করা অর্থাৎ কারবালাকে স্বরন করা,কি কারনে শিরক হবে,বেদাত হবে,না-জায়েজ হবে ?
লেখকঃআনিসুজ্জামান চৌধুরী ও
মাওলানা আল আমিন হোসাইন কাদেরী।
করছি,অনুষ্ঠানাদি করছি ? অন্যদের দৃষ্টিতে যা শিরক,বেদাত,না-যায়েজ ইত্যাদি ইত্যাদি।তাহলে আমাদেরকে প্রথমে দেখতে হবে ইমাম হুসাইন (আঃ) বা আহলে বাইত পাকগন কে বা কারা আছেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে আহলে বাইতপাকদের,সম্মান, মর্যাদা, উচ্চতা সম্পর্কে,তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ করছিঃ- লেখাটি যেহেতু ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর উদ্দেশ্যে,তিনি আহলে বাইতের একজন সদস্য,তাই আহেল বাইতপাকদেরকে নিয়ে যে সমস্ত আয়াতপাক বর্ননা করা হবে এবং হাদিসেরও বর্ণনা দেওয়া হবে,সেটা ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
করছি,অনুষ্ঠানাদি করছি ? অন্যদের দৃষ্টিতে যা শিরক,বেদাত,না-যায়েজ ইত্যাদি ইত্যাদি।তাহলে আমাদেরকে প্রথমে দেখতে হবে ইমাম হুসাইন (আঃ) বা আহলে বাইত পাকগন কে বা কারা আছেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে আহলে বাইতপাকদের,সম্মান, মর্যাদা, উচ্চতা সম্পর্কে,তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উল্লেখ করছিঃ- লেখাটি যেহেতু ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর উদ্দেশ্যে,তিনি আহলে বাইতের একজন সদস্য,তাই আহেল বাইতপাকদেরকে নিয়ে যে সমস্ত আয়াতপাক বর্ননা করা হবে এবং হাদিসেরও বর্ণনা দেওয়া হবে,সেটা ইমাম হুসাইন (আঃ)এঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
আহলে বাইত পাকগন হলেন,মুহাম্মাদ(সাঃ), আলী(আঃ),ফাতিমা(আঃ),হাসান(আঃ),হুসাইন(আঃ) এবং তাঁদের আওলাদ পাকগন,যারা সৎ,লোভ-লালসাহীন,হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত,ধৈর্য্য-সহ্য- সহনশীল,সর্বোপরি অপবিত্র ইবলিশ মুক্ত,শিরক মুক্ত এবং তাঁরা আল্লাহ পাকের উচ্চমর্যাদাশীল বান্দা, খাসবান্দা,নেকবান্দা,নেয়ামতপ্রাপ্তবান্দা,সালেহীনবান্দাগন।












আল্লাহ পাক এবং তাঁর রাসুল (সাঃ)এঁর নির্দেশ মোতাবেক আমরা এই দরূদ নামাজের মধ্যে পড়ছি। আলে মুহাম্মদ হলেন,আলী,ফাতেমা,হাসান,হুসাইন (আঃ)এবং তাঁদের আওলাদ পাকগন।এনাদেরকে আল্লাহ পাক নিজের ইবাদতের মধ্যে বা নামাজের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছেন। তাহলে এনাদের মর্যাদা, মর্তবা কোথায় রেখেছেন আল্লাহ পাক ?

ইমাম হুসাইন (আঃ) জান্নাতে আমাদের সর্দার,এটা আমরা মনে প্রানে বিশ্বাস করি এবং তাঁকে আমরা আমাদের মাথার উপরে রেখেছি।শুধু শুক্রবার জুম্মার খুতবায় “হাসান ও হুসাইন (আঃ) জান্নাতের সর্দার” এটা শুনে,এক কান দিয়ে শুনে,অন্য কান দিয়ে বেড় করে দেই না।তাঁদের দুঃখে আমরা দুঃখিত হই,তাঁদের খুশিতে আমরা খুশি হই।সেই কারনে মহররম মাস আমাদের জন্য দুঃখের মাস।

মজবুত রজ্জু। যাকে আল্লাহ পাক কুরআন পাকের সঙ্গে ধরতে বলছেন।(তাফসীরে কুমী,১ম খন্ড,১০৬পৃষ্ঠা,তাফসীরে ফুয়াত,১৪ পৃষ্ঠা,ফেকাইয়াতু মোওয়াহহেদীন,৩য় খন্ড,১৭৮পৃষ্ঠা)।
রাসুল (সাঃ) বিদায় হজ্জে দুই সমাবেশে বলেছেন, “আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি একটি কুরআন পাক ও অপরটি আমার আহলে বাইত। যারা এই দুটি কে শক্ত করে আঁকড়ে ধরবে তারা কখনই পথভ্রষ্ট হবেনা।(তিরমিজি ৬ষ্ঠ খন্ড,হাঃ৩৭৮৬,৩৭৮৮, মুসলিম,হাঃ৬০০৭,৬০০৮,৬০১০,মসনাদে হাম্বল, খন্ড-৩,পৃষ্ঠা-১৪,১৭,২৬)
আল্লাহ পাক তাঁর রজ্জুকে শক্ত করে ধরতে বললেন, অপরদিকে রাসুল (সাঃ)সেই রজ্জু বা রশি কি তা আমাদের জানিয়ে দিলেন। আহলে বাইত হলেন নবী(সাঃ)এঁর পরিবার। অর্থাৎ আলী(আঃ),ফাতেমা (আঃ),হাসান(আঃ),হুসাইন(আঃ)এবং তাঁদের আওলাদ পাকগন। কুরআন পাকের সঙ্গে এঁনাদের কে শক্ত করে বা মজবুত করে ধরলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা। এঁনারা ইবলিশ মুক্ত,শিরক মুক্ত। ইবলিশ মুক্ত বা শিরক মুক্ত না হলে তাঁরা কখনোই পথভ্রষ্ট বা গোমরাহি থেকে আদম সন্তানদেরকে উদ্ধারের রক্ষা কবজ হতেন না।

উপরোক্ত আয়াত পাক এবং হাদিসের আলোকে আমরা নিশ্চিত যে,মুহাম্মদ আলে মুহাম্মদগন বা আহলে বাইত পাকগন ইবলিশ মুক্ত,শিরক মুক্ত এবং তাঁরা সারা কায়নাতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত,তাঁদের উপরে আর কোন মাখলুক নেই।আমরা আল্লাহ পাককে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসাবে জেনেই তাঁর আদেশ, নির্দেশ,হুকুমমত মানছি এবং পালন করছি।ঠিক অনুরূপ ভাবে,যাঁদেরকে আল্লাহ পাক উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন,ইবলিশ মুক্ত করে দিয়েছেন, শিরক মুক্ত করে দিয়েছেন, সকল মানবকূল থেকে শ্রেষ্ঠ করে দিয়েছেন, তাঁদের কে জান্নাতের উঁচু মাকাম দিয়েছেন,যাতে করে নবী(সাঃ)এঁর গুনাগার উম্মতদেরকে নাজাতের ব্যবস্হা করতে পারেন,তাঁরা পথভ্রষ্টর হাত থেকে বাঁচানো ওয়ালা,এতোসব কারনেই তাঁদেরকে মুহাব্বত করতে হবে,তাঁদের প্রতি মুহাব্বত নিজ দিলের মধ্যে স্হাপন করতে হবে।এই জন্য আল্লাহ পাক তাঁদের সম্পর্কে কুরআন পাকে অসংখ্য আয়াত পাক নাযিল করে তাঁদের মর্যাদা,মর্তবা,উঁচু করে দিয়েছেন। এসব আয়াত পাক, তাফসির,হাদিস গুলো ভালো ভাবে পড়ে দেখুন জান্নাতের সর্দারের সবথেকে কষ্টের দিনে,দুঃখের দিনে আমাদের নওহা করা,মর্সিয়া করা,মাতম করা,তাজিয়াপাক বেড় করা অর্থাৎ কারবালাকে স্বরন করা,কি কারনে শিরক হবে,বেদাত হবে,না-জায়েজ হবে ?
লেখকঃআনিসুজ্জামান চৌধুরী ও
মাওলানা আল আমিন হোসাইন কাদেরী।